জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
দেশে গত জুন থকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। অন্যদিকে অকটেন ১৩১ টাকা ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিপিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার কারণে দেশের বাজারেও দাম কমানো হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে—সেটিও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই জ্বালানি তেলের দাম তখন কমে আসবে।
মুনাফা কমানোর ব্যাপারে বিপিসি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতেই মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের মধ্যে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি কমবে। প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রোলের দাম ৮ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। আর ডিজেল ও কোরোসিনের দাম কমতে পারে ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।
গত মার্চ মাসে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত অনুযায়ী এ পদ্ধতি চালু করা হয়।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল পরিশোধিত ডিজেল ৯১ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ও পরিশোধিত অকটেন ৮৮ ডলারে বিক্রি হয়েছে।