শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর কেন্দ্রিয় দারুল উলুম কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮, ২০ শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধীত এবং সর্বশেষ পরিমার্জন ৪ঠা জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ অনুযায়ী
সহকারী সুপার পদ উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত করার আবেদনের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর প্রদান করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগটি দায়ের করেন-সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ। তার ইনডেক্স নং- কে-৩৩১৯০১। ডকেট নং ১১৫৬৯, তাং১৭/১১/২০২৪।
এর প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আগামী ২৮/১১/২০২৪ তারিখে অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষ ও সহকারী সুপারঃ কে শুনানীতে অংশগ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়। সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ তার দাযেরকৃত অভিযোগে জানান, তিনি বিগত ইং-২০/০২/১৯৯৯ তারিখ হতে অদ্যাবধি সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ কর্মরত আছেন। মাদ্রাসাটি বিগত ইং-২৩শে অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আলিম স্তরে এমপিও ভুক্ত হয় এবং ফাজিল স্তর সহ কামিল স্তর নন এমপিও ভুক্ত। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) “জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮, ২০ শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধীত” এর আলোকে “দাখিল মাদ্রাসা আলিম স্তরে উন্নীত হওয়ার পর সুপার ও সহঃ সুপার যথাক্রমে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত হবেন” মর্মে নির্দেশনা বা বিধান রয়েছে। অধ্যক্ষ পদটি সমন্বিত হইলেও অদ্যাবধি তার উপাধ্যক্ষ পদটি সমন্বিত না হওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক কষ্টে জীবন নির্বাহ করে আসছেন সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ। তিনি বিগত ৫/৬ বৎসর যাবৎ তার নায্য অধিকার থেকে তথা পদ সমন্বয় ও পদবীয় স্কেল থেকে বঞ্চিত করা হয়। অধ্যক্ষ এ, এ, এম,ওজায়েরুল ইসলাম নিকট তার উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত করার আবেদন করলেও ২০১৮ ও ২০২০ সংশোধীত জনবল কাঠামো ও নীতিমালা কে তোয়াক্কা করেন নি। বরং ১০০% জাল জালিয়াতি ও সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে নিয়োগকৃত আরবী প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলামকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে যার চাকুরীর বয়স মাত্র ০৩ বৎসর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জারিকৃত নীতিমালা ও বিধি বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠে। তাকে নিজের ইচ্ছামত উপাধ্যক্ষ নিয়োগে গভীর ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষ । তিনি চলতি নভেম্বর ২০২৪ এর পূর্বের রেজুলেশনে শফিকুল ইসলামের অবৈধ উপাধ্যক্ষ পদায়নের লক্ষ্যে সাবেক কমিটির সদস্যগনের স্বাক্ষরীত রেজুলেশনে স্থাপন করে আবারও দ্বিতীয় বারের মতো জালিয়াতি ও ছল চাতুরতার আশ্রয় নিয়ার অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং-৫৭,০০০০,০০৩.৯৯,০০২.২৩.১১৯৩ তারিখ ০৪/০৭/২০২৩ ইং এর পরিপত্রের আলোকে সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ কে বিধি মোতাবেক উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত করার তৃতীয় বারের মতো যে পুনঃ নির্দেশনা এবং সমন্বিত না করার যে শাস্তি তথা অধ্যক্ষের এমপিও সাময়িক বন্ধ সহ যে সকল শান্তির নির্দেশনা বা বিধান সম্বলিত পরিপত্র জারি করা হয় তাতেও তিনি তোয়াক্কা না করায লিপ্ত রয়েছে। অধ্যক্ষ এ, এ, এম,ওজায়েরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়ায় তার ভাষ্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।