সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শ্যামনগরে ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন নূরনগর ইউনিয়ন আমীরের শপথ মজলিশে শূরা নির্বাচন ও কর্ম পরিষদ গঠন জামায়াতে ইসলামীর রমজাননগর ইউনিয়ন আমিরের শপথ ও টিম গঠন শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ৫ আগষ্টে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন শ্যামনগরে ক্যারিয়ার ক্যাম্প জব কোচিং-এ চাকরি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শনিবার মৌলভীবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন   সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সভা মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

ভারতের ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষনা

রিপোটার এর নামঃ ৬১ ভিউ
আপডেটঃ শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ৫:০৩ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্কঃ

ভারতের ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছে “ইনকিলাব মঞ্চ” নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণ, ইচ্ছেমতো পানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন্যা ও নদীর নাব্যতা হ্রাসবৃদ্ধিতে প্রভাব খাটানোর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘গণধিক্কার ও ভাঙার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লংমার্চের পোস্টার প্রদর্শন করে এ ঘোষণা দেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা, গান, প্রতিরোধমূলক সংগীত ভাঙ্গার গান, কবিতা আবৃত্তি করে প্রতিবাদ জানান। পরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের “কারার ঐ লৌহ কপাট” সংগীত বাজিয়ে প্রতীকী বাঁধ ভাঙেন।
বক্তারা বলেন, “নদীর পানি প্রবাহের ওপরেই যে দেশের জন্ম, নদী বিপন্ন হলে সে দেশের অস্তিত্বও কতটা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে তা বলা বাহুল্য। বাংলাদেশের নদীগুলো যেভাবে খুন হচ্ছে তার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ভারতের একতরফা আগ্রাসী তৎপরতা।”
ভারত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন অমান্য করেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, “শক্তির জোরে একের পর এক বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর প্রায় সব প্রবাহ পথে বাঁধ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করে এর বিশাল পানিপ্রবাহ কৃত্রিম খালের সাহায্যে উঁচু অঞ্চলে প্রবাহিত করে কৃষিক্ষেত্রসহ ইচ্ছেমতো সব ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করছে। ভারতের এসব আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।”
বক্তারা আর বলেন, “উজানে ভারত গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারেজ ও অন্যান্য নদীতে বাঁধের কারণে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের মতন অমূল্য সম্পদ আজ ধ্বংসের দিকে। বনটি বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ স্বাদু পানির প্রয়োজন, তা পাচ্ছে না। কৃষির অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পানির স্তর অনেক নেমে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের জি-কে সেচ প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেচযন্ত্রগুলোর অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে আছে অথবা সেগুলোর ওপর তার ক্ষমতার চাইতে বেশি চাপ পড়ছে। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ৩২০ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ নৌ-চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে, কয়েক হাজার লোক বেকার হয়ে পড়ে।”


এই বিভাগের আরো খবর