মাহমুদুল ফিরোজ বাবুলঃ
হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: রনী খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্র প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, পেশাজীবি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন টনেরও অধিক পলি বাংলাদেশের ভূভাগে আসছে এবং জমা হচ্ছে। যা সুন্দর আগামীর জন্য সুখকর নয়। হাওরের মতো নদীগুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পানির রিজার্ভার কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একময় মরুভূমি হয়ে যাবে। এজন্য ক্যাপিটাল ড্রেজিং সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, খাল ও জলাভূমিগুলোকে উন্মুক্ত করে এখানকার সম্পদকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে শ্যামনগরের চেহারা পাল্টে যাবে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।
সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো সম্ভব। সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটনশিল্প তৈরিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তার দপ্তর থেকে প্রকল্প দেয়ার ঘোষনা দেন। তিনি সকলের প্রস্তাব এবং পরামর্শ শোনেন এবং সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দিক নির্দেশনা দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, শ্যামনগরের বেশির ভাগ খাল গুলোতে জোয়ার ভাটা হয় না। খালে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এক দল মানুষ। যা বাগদি চিংড়ী চাষকেও বাঁধা গ্রস্থ করছে আবার ধান ও অন্যান্য ফলস চাষকেও বাঁধা গ্রস্থ করছে। খাল গুলোতে নদীর সাথে জোয়ার ভাটার ব্যাবস্থা করা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ধান এবং বাগদা চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে সমন্বয়টা খুবই জরুরী। যেখানে চিংড়ী চাষ লাভ জনক সেখানে চিংড়ী চাষকে প্রাধান্য দিয়ে লবন পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। এবং যেখানে ধান চাষ লাভ জনক সেখানে ধান চাষের সুবিধার্থে লবন পানি বন্ধ করতে হবে। এবিষয়ে অনেকগুলো দপ্তর কাজ করে। সকল দপ্তরকে তিনি সমন্বয়ের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।