অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় দলের অলরাউন্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নামে হয়েছে হত্যা মামলা। তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। এ নিয়ে বিসিবি’র নয়া সভাপতি ফারুক আহমেদ দ্বিতীয় টেস্টের আগে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ৩০শে আগস্ট শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট, ঠিক তার একদিন আগেই জরুরি বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠের বিসিবি’র কার্যালয়ে। এদিন আসতে পারে সাকিব ছাড়াও স্ট্যান্ডিং কমিটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। গত রোববার সাকিবকে নিয়ে নোটিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে বোর্ড সভাপতি। এখন পর্যন্ত নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। তিনি জানিয়েছেন কাল বোর্ড সভাতেই এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা তো এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমি পাইনি। মনে হয় আমাদের প্রেসিডেন্ট এটা বলবেন।
পরশুদিন আমাদের বোর্ড মিটিং আছে, সেখানে হতে পারে। এটা আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিবেন। প্রেসিডেন্ট কিন্তু শেষবারের কথায় (সাকিব) সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আইনি নোটিশ পাইনি। এটা পেলে হয়তো সবাই বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’ বৃহস্পতিবারের বোর্ড সভাতেই মূলত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিবি। এরমধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। তার পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে তো বলার কিছু নেই। আপনি শুধু গত দুইটা কেন, গত দুই বছরের পারফরম্যান্সও যদি বলেন- কোয়ালিটি প্লেয়ার ছাড়া একটা দেশে কিন্তু ১৪-১৫ বছর খেলা কিন্তু একটা বড় ব্যাপার। কোয়ালিটি প্লেয়ার ছাড়া কেউ অ্যাচিভমেন্ট করতে পারে না। ওর তো পারফরম্যান্স সবসময় ভালো এবং যখনই খেলে বাংলাদেশ দলের জন্য তখনই আমরা অতিরিক্ত সুবিধা পাই।’ নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে আকরাম খান ছিলেন একজন অন্যতম সুবিধাভোগী পরিচালক। ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের। বোর্ডে পরিবর্তন আসলেও আকরামের কোনো পরিবর্তন নেই। এবার নয়া সভাপতি আবার তার ভায়রা। তবে তিনি জানিয়েছে আগের বোর্ডে থেকে ক্রিকেটে উন্নতি যা করতে পারেননি এবার তিনি তা করবেন। তিনি বলেন, ‘এই বোর্ড আসার পর আমাদের একটা জরুরি মিটিং হয়েছে। তারপর আর কোনো মিটিং হয়নি। কিছুদিন যাক তারপর এই কথা আমরা বলবো। এখন আমরা মনে করি ইটস টু আর্লি। কিছুদিন সময় দেন আমরা দুই একটা মিটিং করি, কিছু আলাপ-আলোচনা করে জানা যাবে। সবসময় আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়া যায়। ইনশাআল্লাহ এখন যেহেতু বাংলাদেশে প্রথম কোনো ক্রিকেট প্লেয়ার বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তো আমি একটা কথা বলতে চাই- ডেফিনিটলি প্লেয়ারদের অনেক সুযোগ- সুবিধা যেটা হয়তো আগে বুঝাইতে অনেক কষ্ট হয়েছে, এখন সেটা হবে না। ইনশাআল্লাহ এটার ফলও ওরা পাবে।’