বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শ্যামনগরে ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন নূরনগর ইউনিয়ন আমীরের শপথ মজলিশে শূরা নির্বাচন ও কর্ম পরিষদ গঠন জামায়াতে ইসলামীর রমজাননগর ইউনিয়ন আমিরের শপথ ও টিম গঠন শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ৫ আগষ্টে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন শ্যামনগরে ক্যারিয়ার ক্যাম্প জব কোচিং-এ চাকরি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শনিবার মৌলভীবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন   সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সভা মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

আইএসপিআরের বিবৃতি: ৩ পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গা হতে পারে

রিপোটার এর নামঃ ৪৬ ভিউ
আপডেটঃ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১৫ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্কঃ

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইএসপিআর অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, যথাযথ তদন্ত করে এসব ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয়  উচ্ছৃঙ্খল জনগণের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে একজন যুবক নিহত হন। পরে সদর থানা-পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কয়েক সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর হামলা করে ও ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়।’

আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘ওই সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নেভায়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকাগুলোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাকর করে তুলে। দ্রুততার সঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সকল পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে বলা হয়।’
এতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জোনের একটি টহল দল রাত সাড়ে ১০টার দিকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছালে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফের (মূল) নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। এই গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়। একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফের (মূল) নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেডের অফিসে ভাঙচুর করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আজ শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের’’ ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০ থেকে ১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে উভয় পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধও জানিয়েছে আইএসপিআর।

 


এই বিভাগের আরো খবর