অনলাইন ডেস্কঃ
রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি ছাত্র জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধ এবং যানবাহন শ্রমিক মালিক শ্রমিক ঐক্য জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাঙ্গামাটিতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটি শহরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও রাখা হয়েছে শক্ত অবস্থানে। রাঙ্গামাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনীর উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। রাঙ্গামাটি শহরে এখনো পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
অবরোধ ও ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটির অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের যানবাহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটিতে পণ্যের দাম উর্দ্ধগতির দিকে যাচ্ছে।আজ সকালের দিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
এদিকে রাঙ্গামাটির নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়েছেন প্রায় হাজারেরও বেশী পর্যটক। বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধের কারণে সাজেকে পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ দিকে শনিবার স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার ও পার্বত্য উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্ছ পদস্থ কর্মকর্তারা রাঙ্গামাটি পরিদর্শনে এসে আইন শৃংখলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা করেন। রাঙ্গামাটিতে শুক্রবারের সহিংস ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।