উপকূলীয় প্রতিনিধি::
সম্প্রতি সময়ে সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বেলা ২ টায় জুম্মা বাদ উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট জামে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচী তে সভাপতিত্ব করেন ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এম.এম রবিউল ইসলাম।
“সারাবাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে”, ” একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”, “আমার বোন কবরে, ধর্ষক কেন বাহিরে”, ” আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই”; এমন মুহুর মুহুর স্লোগান দিয়ে জুম্মার নামাজ শেষে শতাধিক মুসল্লী সহযোগে বিক্ষোভ মিছিল টি বুড়িগোয়ালিনী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নীলডুমুর খেয়াঘাটে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচীর সাথে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ‘র বুড়িগোয়ালিনী ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হরিনগর ত্রিপাণী বিদ্যাপিঠের সহকারী শিক্ষক মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ ইব্রাহিম খলিল, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সাদিক আল নোমান, হাফেজ জাকির হোসেন, এসএসএসটির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা সবাই আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনা জানি। এমন অনেক ধর্ষণ হয় যার খবর আমরা জানি না। আমাদের সামনে আসে না। অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ষকদের উপযুক্ত সাজা না হওয়া। ১০ হাজার, ২০ হাজার টাকা দিয়ে, হুমকিধমকি দিয়ে তারা আবার মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের দাবি, আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, প্রকাশ্যে এনে যেন তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়। যেন সামনে কোনো ধর্ষক কাউকে ধর্ষণের কথা চিন্তাও না করতে পারে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে।
সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম বুড়িগোয়ালিনী ইউনিটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা সত্ত্বেও এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মন-মানসিকতা অনেক নিচু। তারা নারীদের বিভিন্নভাবে বুলিং করে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ভিতরে এক, বাইরে আরেক। এ ধরনের মানুষকে প্রশাসন চিহ্নিত করুক। তারা যেন ভবিষ্যত রেপিস্ট হিসেবে না গড়ে ওঠে। প্রশাসন তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক যেন নারীদেরকে নিয়ে কটূক্তি করার আগে তাদের কলিজা কেঁপে ওঠে। আমরা এমন ঘটনার সমাপ্তি চাই। সর্বোপরি সুন্দর সহিংসতামুক্ত একটি বাংলাদেশ চাই।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রনেতা ফাহাদ বিন আব্দুর রউফ।