শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখীমারা আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা মাছুরা খানম কে পরকিয়া প্রেমের জেরে লাঞ্চিত করা হয়েছে। সূত্রে প্রকাশ, পাখীমারা আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা (কম্পিউটার) মাছুরা খানমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন পাতাখালী চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হালিম খানের পুত্র ফরিদ -উদ-দৌলা ফেরদৌস নিক্সন। মাছুরা খানমের ইনডেক্স নং-এম-০০৩৭২৪৫, বেতন কোড-১০। নিয়োগ বোর্ড ছাড়াই মাছুরা কে ভুয়া কম্পিউটার সনদে চাকুরী দেয়া হয়। শিক্ষিকা মাছুরা খানমের কম্পিউটার সনদ টি অবৈধভাবে তৈরী করাতে নিক্সনের সহায়তা করাতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসার সামনে রাস্তার পথিমধ্যে ১ম স্ত্রী রিনা পারভীনের সাথে মাছুরা খানমের সাক্ষাৎ হয়। একপর্যায়ে কথা প্রসঙ্গে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে হাতাহাতি হয়।
এ সময় মাদ্রাসায় শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্রীদের সম্মুখে শিক্ষিকা মাছুরা খানম লাঞ্চিত হন। এদিকে এলাকাবাসী জানান, মাছুরা খানম ও নিক্সনের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ার সুবাধে পরকিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলেন নিক্সন কে। শিক্ষিকা মাছুরা খানমের স্বামী কয়রা উপজেলার বেদকাশি গ্রামের ফরিদ উদ্দীন কে এক কন্যা সন্তান রেখে তালাক দেন। মাছুরা খানম স্বামী পরিত্যাগ করে নিক্সন কে বিয়ে করার কাবিনামা সুপারঃ মাওলানা রেজাউল করিমসহ শিক্ষকদের দেখানো হয়। কিন্তু সুপার কাবিননামা চাইলে সেটা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করে। এ দিকে ফরিদ -উদ-দৌলা ফেরদৌস নিক্সন জানান, মাছুরা খানমের সাথে বিয়ে হয়নি, বরং সে তার ফুফাতো বোনের সম্পর্ক, অন্য কোন অনৈতিক সম্পর্ক নয়। নিক্সনের ১ম স্ত্রী রিনা পারভীনের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিনা অনুমতিতে নিক্সন ২য় বিয়ে করার খবরে সঠিককত যাচাই করতে ১ম স্ত্রী মানষিক যন্ত্রনায় ও দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে থাকেন। মাছুরা খানমকে বার বার তাগিদ দেয়া স্বত্তেও সে তার অপকর্ম থেকে চলে আসেনি মর্মে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ(ভারপ্রাপ্ত) ফকির তাইজুর রহমান জানান, মাছুরা খানম ভবিষ্যৎ এ রিনা পারভীনকে মিথ্যা মামলা জড়ানোসহ মারধর করার হুমকী দেন এ বিষয়ে জানতে পেরেছি।জনৈক আজমল সরদার জানান, তার বিয়ের বিষয়টি লুকোচুরি করা হচ্ছে,তবে একাধিকবার নিক্সন মাদ্রাসায় এসেছেন। যশোরের বাগআচড়ায় এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে মাছুরা খানমের পরকীয়ায় সংসার ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। শিক্ষিকা মাছুরা খানম জানান, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো, এখন ব্যস্ত আছি বলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন। মাদ্রাসার সুপারঃ মাওলানা রেজাউল করিম জানান, তার কম্পিউটার সনদ টি সঠিকতা যাচাইয়ের প্রক্রিধীন রয়েছে,তাদের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ড অনেকেই জানিয়েছেন, বর্তমানে সে মাদ্রাসায় আসছেন না,তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে শিক্ষিকা মাছুরা খানমের কম্পিউটার সনদ ও নিয়োগ বোর্ডের সঠিকতা যাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।